শোকের পুরো মাস কালো ব্যাজ ধারণ করতে হবে শিক্ষক-শিক্ষা কর্মকর্তাদের

আগামী ১৫ আগস্ট স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭ তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস। শোকদিবসে যথাযথভাবে ভাবগাম্ভীর্য সঙ্গে পালন করতে হবে সব সরকারি বেসরকারি স্কুল-কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষা অফিসগুলোকে। শোক দিবস উপলক্ষে পুরো আগস্ট মাস সব শিক্ষা অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক-কর্মচারীদের কালো ব্যাজ ধারণ করার নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

এছাড়া জাতীয় শোক দিবস পালনের সব সরকারি বেসরকারি স্কুল কলেজে দোয়া মাহফিল, রচনা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন এবং সুবিধাজনক সময়ে শোক দিবসের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ আলোচনা সভা আয়োজন করতে বলা হয়েছে।

ইতোমধ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে আদেশ জারি করে বিভিন্ন শিক্ষা অফিস এবং সরকারি বেসরকারি স্কুল-কলেজের শোক দিবসের কর্মসূচির বিষয়ে জানানো হয়েছে।

অধিদপ্তর বলছে, ১৫ আগস্ট (সোমবার) অধিদপ্তরাধীন সব অফিস ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখতে হবে। ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে অধিদপ্তরাধীন সব দপ্তর ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করতে হবে। সব দপ্তর ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দৃশ্যমান স্থানে জাতীয় শোক দিবসের ভাবগাম্ভীর্য অক্ষুন্ন রেখে ব্যানার স্থাপন করতে হবে। ব্যানারগুলো পুরো আগস্ট মাস প্রদর্শন করতে হবে। বিবর্ণ, ছেঁড়া ব্যানার ব্যবহার করা যাবে না। ব্যানার বিবর্ণ হলে প্রয়োজনে পুনঃস্থাপন করতে হবে। পোস্টার এবং ব্যানারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি ছাড়া অন্য ছবি ব্যবহার করা যাবে না।

অধিদপ্তর আরও বলছে, জেলা শিক্ষা অফিসার ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসাররা সংশ্লিষ্ট জেলা তথ্য অফিসারের সাথে যোগাযোগ করে পোস্টার সংগ্রহ করে তা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে প্রচারের ব্যবস্থা করবেন। যাদের এলইডি বোর্ড রয়েছে তারা এলইডি বোর্ডের মাধ্যমে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস বিষয়ক তথ্য চিত্র প্রচারের ব্যবস্থা করবে। সব দপ্তর ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আগস্ট মাসব্যাপি কালো ব্যাজ ধারণ করবেন।

অধিদপ্তর আরও বলছে, সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জাতীয় শোক দিবসের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ আলোচনা সভা, কবিতা পাঠ, রচনা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, চিত্র প্রদর্শনী এবং দোয়া মাহফিল বা উপাসনার আয়োজন করবে। শিক্ষার্থীদের শ্রেণিভিত্তিক গ্রুপে বিভক্ত করে রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন করে পুরস্কার বিতরণের ব্যবস্থা করতে হবে। অধিদপ্তরাধীন সব দপ্তর ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সুবিধাজনক সময়ে আলোচনা সভার আয়োজন করতে হবে।

Share this Notice

Share on facebook
Share on email
Share on twitter
Share on print